অ্যাপটির কাজ কি?
এটি অ্যান্ড্রয়েডের পিক এডিট করার সফটওয়্যার। যা ব্যবহারকারীদের 1000 এর উপরে প্রিসেট ডাউনলোড করতে দেয়। একই সাথে ফিল্টার, ভিন্টেজ ইফেক্ট দেয়ার পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে টুকিটাকি আরো অনেক ফিচার। যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সাদামাটা ছবিও হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয়।
যেভাবে পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ব্যবহার করবেন:
জনপ্রিয় এই পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ব্যবহার করা অনেকটাই ইজি। কারণ, এই পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে কোন প্রকার একাউন্ট এর প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র আপনার অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাউনলোড করলেই কাজ শেষ।
পিক এডিট করার সফটওয়্যার টির সুবিধা সমূহ বা বৈশিষ্ট্য:
- এক হাজারের উপরে প্রিসেট এবং ওভারলে ব্যবহার করার সুবিধা। যেগুলো ফটো এবং ভিডিও তে ব্যবহার করা সম্ভব। অন্যান্য সব পিক এডিট করার সফটওয়্যার এ ভিডিওতে প্রিসেপ্ট ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। যেখানে এই সফটওয়্যারটিতে রয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো সুবিধা।
- ইডিটকৃত ছবি এবং ভিডিও এক ক্লিকের মাধ্যমে, পরবর্তী ছবি বা ভিডিও তে এপ্লাই এর জন্য কিউ আর কোড এর ব্যবস্থা রয়েছে। যা স্কানের মাধ্যমে এডিট করা যায়। সোজা বাংলায় বললে: ব্যাপারটি ঠিক! কপি পেস্টের মত।
- 20টিরও অধিক টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও এডিট করার সুবিধা। টুলস গুলোর মধ্যে রয়েছে HSL, split tone, Glow, curve সহ আরো অনেক।
- অ্যাপের মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি DNG প্রিসেট এক ক্লিকে লাইট্রুম এ নিয়ে যাওয়ার সুবিধা। যার ফলে এডিটিং এর সময় অনেকটা বাঁচে।
- টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদাভাবে রয়েছে। ভিডিওতে এপ্লাই করার মত LOMO, retro, vintage, trendy, indie, filter, VHS, dazz, cam, film সহ অসংখ্য প্রিসেট।
- অ্যাপের মধ্যে বসেই ছবি তোলা কিংবা ভিডিও করার সুবিধা। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে এডিটের জন্য অন্য কোন অ্যাপসে প্রবেশ করার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও বিগত সময়ে এডিট করা সকল প্রজেক্ট দেখতে পারার সুবিধাসহ রয়েছে অ্যাপসটিতে আরো অনেক প্রয়োজনীয় ফিচার। যেগুলো আপনার ফটো বা ভিডিও তে ইমপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে আরো চমকপ্রদ করতে পারেন।
পিক এডিট করার সফটওয়্যার টির খারাপ দিক:
ব্যক্তিগতভাবে এই পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি আমি বেশ কয়েক মাস যাবত ব্যবহার করে আসছি। দুর্ভাগ্যবশত আমার চোখে এখনো পর্যন্ত, কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে প্লেস্টোর এবং অ্যাপ স্টোর এর রিভিউ পড়লে দেখা যায় যে, অনেকেই অ্যাপসটির প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিয়ে কথা বলেছে।
পিক এডিট করার সফটওয়্যার এর সাবস্ক্রিপশন:
পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের আওতাভুক্ত হতে হবে। কিন্তু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন বেশ ব্যয়বহুল। তাই আমার সাজেস্ট থাকবে, আপনারা গুগল থেকে Koloro Mod Apk টি ডাউনলোড করে ব্যবহার করুন।
পিক এডিট করার সফটওয়্যার টির ডিজাইন:
ডিজাইন নিয়ে বাড়িয়ে বলার মত কিছুই নেই। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে, অ্যাপসটির ডিজাইন ঠিক কতটা সুন্দর হতে পারে। কারণ, যেখানে অ্যাপসটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করে, সেখানে অ্যাপসটির ডিজাইন সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক। এরপরও আমি আপনাদের একটু আভাস দিয়ে রাখে যে, অ্যাপসটির ডিজাইন বেশ গোছানো এবং মিনিমালিস্টিক। একই সাথে অ্যাপসটির ডার্ক থিম এবং কালার গ্রেডিয়েন্ট এ যুক্ত রয়েছে। যা দেখতে পুরাই আগুন!
পিক এডিট করার সফটওয়্যার টির রেটিং এবং রিভিউ:
রেটিং এবং রিভিউ এর দিক দিয়ে অ্যাপসটি বেশ আগানো। কারণ, প্লে স্টোর থেকে ইতিমধ্যে অ্যাপসটি 10 মিলিয়ন এর অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। যেখানে 4.4/5 রেটিং রয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপ স্টোরেও 4.4/5 রেটিং সহ দুটি প্লাটফর্মে প্রায় দেড় লাখের মত রিভিউ রয়েছে।
যেভাবে পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করবেন:
সম্পূর্ণ ফ্রি-তে পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে প্লে স্টোরে গিয়ে লিখুন Koloro App অথবা নিচের লিংকে সরাসরি প্রবেশ করুন।
শেষ কথা:
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে রয়েছে অসংখ্য পিক এডিট করার সফটওয়্যার। কিন্তু যারা কখনো ছবি এডিট করেননি তারা বুঝতে পারেন না যে, ভালো এডিট করার সফটওয়্যার কোনটি? তাদের আমরা অনুরোধ করবো আপনারা অবশ্যই একবার এই পিক এডিট করার সফটওয়্যার টি ব্যবহার করুন। আশা করছি, নিরাশ হবেন না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল অ্যাপের রিভিউ এর পাশাপাশি টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ